Header Ads

Header ADS

ভালোলাগার অনুভূতি

writer :::পিচ্ছি রাজকুমার
আমি একটা রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যেতাম।আমি যেই সময়ে পড়তে যেতাম ঠিক সেই সময় দেখতাম একটা মেয়ে যেত।দেখতে শুনতে ভালই।অনেক বড় ঘরের মেয়ে দেখলে বোঝা যায়।আমি প্রায় প্রতিদিন মেয়েটাকে দেখতে পেতাম।মাঝে মধ্যে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিত।কিন্তু সেই আমি হাসির কোন অর্থ খুজে পেতাম না।আরে ভুলেই গেছি আমার পরিচয় দিতে।আমি চয়ন।আমারা দুই ভাই।আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারে বাস করি।
মেয়েটার বাড়ির সামনে একটা মুদি দোকান আছে।আমি,দিপ্ত আর শীলন এই তিন বন্ধু মাঝে মাঝে ওই দোকানে গিয়ে আড্ডা দিতাম।আমরা যখন ওই দোকানে আড্ডা দিতাম তখন মেয়েটা তাদের বেলকনিতে দাড়িয়ে থাকত।আমার সাথে চোখাচোখি হত।মাঝে মাঝে আমাকে দেখে কেমন যেন একটা করত।আপনারা হয়ত ভাবছেন আমি মেয়েটাতে ভালোবাসি।আসলে তেমন কিছুই না।আমি শুধু যেতাম আড্ডা দিতে।
যাতে টাইমপাস হয়।মেয়েটাও হয়ত ভাবত আমি মেয়েটাকে দেখতে তাদের বাসার সামনে যাই।অথবা তাকে দেখার জন্য তার পেছন পেছন যাই।আসলে মেয়েটা সুন্দর হলেও আমি তাকে নিয়ে কিছুই ভাবতাম না।আমার আবার প্রেম করা একদম অপছন্দ।এর পেছনে যথেষ্ট কারন আছে।আসলে আপনারা যা ভাবছেন তা না।
আপনারা ভাবছেন হয়ত আমি ছ্যাকা খেয়েছি বলে আমার প্রেম পছন্দ না।প্রেম করার কোন মনমানসিকতা আমার নাই।
আজ আবার আড্ডা দিতে দোকানে গেলাম তিন বন্ধু মিলে।যথারীতি আজও দেখি মেয়েটা তাদের বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে।তো আমরা তিনজনে আড্ডা দিচ্ছিলাম।এমন সময় শীলন বলল
শীলনঃদোস্ত সামনে একটা বাসা দেখছিস?
আমিঃহ্যা।তো কি হয়েছে?
শীলনঃওখানে দেখ একটা মেয়ে বসে আছে
আমিঃতো আমি কি করব?
দিপ্তঃএই শীলন তুই মেয়েদের দিকে এত নজর দিস কেন?
শীলনঃআরে না মেয়েটা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে
আমিঃচোখ আছে তাই তাকিয়ে আছে
দিপ্তঃকেন আমাদের দিকে কি কারও তাকানো বারন?
শীলনঃনা
আমিঃতাহলে চুপ থাক
শীলনঃওকে
আমরা আরও 20মিনিট ধরে আড্ডা দিলাম।তারপর আমরা যার যার বাসায় চলে আসলাম।বাড়ি এসে একটু পড়াশোনা করে ঘুমাতে গেলাম।
সকালে ঘুম ভাওল মায়ের ডাকে।
মাঃএই চয়ন ওঠ
আমিঃহু
মাঃহু না করে ওঠ
আমিঃএত তাড়াতাড়ি কেন?
মাঃআজ আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা না?
আমিঃওহ আমার তো মনেছিলো না।
মাঃহ্যা তাড়াতাড়ি ওঠে রেডি হয়ে নে
আমিঃআচ্ছা তুমি যাও
মাঃঅচ্ছা
তাড়াতাড়ি করে ঘুম থেকে উঠলাম।ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।আজ আমরা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।কিছুক্ষনপরে আমরা গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
দীর্ঘ 4ঘন্টা ভ্রমনের পর গ্রামের বাড়িতে পৌছলাম।বাড়ির সবার সাথে কুশল বিনিময় করলাম।
আমরা মোট 7দিন ছিলাম।এই তিনদিন অনেক মজা করলাম।বেশি মজা করেছিলাম গ্রামের সবার গাছ থেকে ফল চুরি করে খেয়ে।আমি আবার দুষ্টু প্রকৃতির।
তিনদিন পর আবার যথারীতি বাড়িতে ফিরে আসলাম।মনটা একটু খারাপ লাগছে।এই 7দিন যাদের সাথে ছিলাম তাদের খুব মনে পড়ছে।করার তো আর কিছুই নেই তাই ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিলাম।ঘুম ভাঙল বিকালে।ঘুম ভাঙার পরে দেখি প্রাইভেট টাইম এখনো আছে।ভাবলাম বাড়িতে বসে আর কি করব প্রাইভেটা পড়েই আসি।ভালোভাবে প্রাইভেটটা শেষ করে বাসার দিকে আসছিলাম এমন সময় হঠাৎ করে সেই মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো।
আমিঃএই যে আমার সামনে দাড়ালেন কেন?
মেয়েটাঃআপনাকে কথন থেকে ডাকছি?শুনতে পান না নাকি?
আমিঃআমি কি করে জানব যে আপনি আমাকে ডাকছেন?আর আমার কাছে আপনার কি দরকার?
মেয়েটাঃদরকার আছে।আগে বলুন এই কয়দিন আপনি কোথায় ছিলেন?
আমিঃতা আপনাকে কেন বলব?
মেয়েটাঃআমি শুনেছি তাই
আমিঃকিন্তু আমি বলব না
মেয়েটাঃকেন?
আমিঃআপনাকে চিনিনা তাই
মেয়েটাঃআমি রিতু।এবার দশম শ্রেনিতে পড়ি।এবার তো পরিচিত হলাম?
আমিঃনা।
মেয়েটাঃআবার কি?
আমিঃআমিতো আমার পরিচয় দিই নি
মেয়েটাঃআমি আপনাকে চিনি।
আমিঃকিভাবে?
রিতুঃআপনার বন্ধুরের কাছ থেকে
আমিঃওহ ভালো
রিতুঃএবার বলেন কোথায় ছিলেন?
আমিঃতাও বলবা না
রিতুঃকেনো?
আমিঃএইমাত্র পরিচিত হলাম।এতেই তো সব কথা শেয়ার করতে পারব না।
রিতুঃআচ্ছা আমরা তো বন্ধু হতে পারি?
আমিঃতা তো পারি
রিতুঃআচ্ছা আমরা তাহলে এখন থেকে বন্ধু
আমিঃওকে
রিতুঃআমরাতো এখন থেকে বন্ধু তাই তুমি করে বলব
আমিঃহুম
রিতুঃএবার বলো কোথায় ছিলে?
আমিঃগ্রামের বাড়িতে গেছিলাম
রিতুঃওহ।আচ্ছা একটা কথা বলবে আমাকে?
আমিঃহ্যা বলো
রিতুঃতোমার গালফ্রেন্ড আছে?
আমিঃহ্যা আছেতো(মিথ্যা বললাম)
রিতু কিছু না আর কিছু না বলেই কাদতে কাদতে চলে গেলো।কি এমন বললাম যে কাদতে হবে।মেয়েদের মনা বোঝা বড়ই কষ্টকর।আমি বাড়িতে ফিরে আসলাম।বাড়িতে এসে দেখি আরেক অবস্থা।দেখি বাবা আর মা আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।অবাক লাগল বাবা এইসময়ে বাড়িতে।বাবা এইসময়ে বাড়িতে থাকে না কোনোদিন।তাও আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।আমাকে দেখা মাত্রই ডাক দিলেন।
বাবাঃএই চয়ন শোন
আমিঃকি হয়েছে?
বাবাঃতুই কি প্রেম করিস?
আমিঃমানে?
বাবাঃআমি বলছি তুই কি প্রেম করিস?
আমিঃনা।
মাঃতাহলে রিতু কি আমাদের মিথ্যা বলেছে?
আমিঃরিতু কে?
মাঃআজ তুই যাকে বলেছিস তোর গালফ্রেন্ড আছে
আমিঃতোমরা রিতুকে কিভাবে চিনো?
বাবাঃও আমার বন্ধুর মেয়ে।ও আমাদের সব বলেছে।
আমিঃআরে আমি মিথ্যা বলেছি
বাবাঃসে তুই বলিস রাতে তুই রেডি হয়ে থাকবি
আমিঃকেনো?
মাঃআজ তোর বিয়ে
আমিঃওহ আচ্ছা।কিহহহহ?আমার বিয়ে?
বাবাঃহ্যা আজ রাতে রিতুর সাথে তোর বিয়ে
আমিঃকেন রিতুর সাথে আমার বিয়ে কেন?
বাবাঃছোটবেলায় তোদের বিয়ে ঠিক করা ছিল।আর বিকালে তোর কথা শোনার পর রিতু আনেক কেদেছে।তাই ওর বাবা আজই
তোদের বিয়ে দিতে চাই।
আমিঃআমি বিয়ে করতে পারব না এখন।
আমার কথা শুনে বাবা মা দুজনই চলে গেল।ভাবলাম তাহলে বেচে গেছি।কিন্তু আমার ধারনা পুরাই ভুল রাতেই আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিছে।
এখন বাসর ঘরের দিগে এগোচ্ছি।ঘরে ঢুকা মাত্রই রিতু আমাকে সালাম দিল।
আমিঃআচ্ছা একটা কথা বলি?
রিতুঃহ্যা বলো
আমিঃআচ্ছা তুমি গালফ্রেন্ডের কথা বাবা মাকে কেন বলেছো?
রিতুঃকারন তোমার সাথে আমার বিয়ের হওয়ার কথা।আর ওনি প্রেম করবে শখ কত
আমিঃআরে আমি তো তোমাকে মিথ্যা বলেছিলাম।আমি প্রেম করিনা।
রিতুঃনা করলেই ভাল
আমিঃআচ্ছা আমার এখন বর বউ?
রিতুঃতা নয়ত কি
আমিঃতাহলে একটু আদর করি?
রিতুঃযা দুষ্টু
বাকি অংশ টিভিতে দেখে নিয়েন।একন আর বলার সময় নেই।বুঝতেই পারছেন বউকে একটু.............
মানুষ মাত্রই ভুল তাই আমিও ভুলের উর্ধে নয়।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।ভালো লাগলে আমাকে Add দিতে পারেন আমার টাইম লাইনে আরও গল্প আছে পড়তে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.