Header Ads

Header ADS

অবশেষে হলো ভালোবাসার জয়

প্রায় অনেক্ষনই হলো নরম সোফাতে বসে
আছি। খুবি ক্ষুদা লাগছে কারন সকালে কিছু খাওয়া হয়
নি। আর এখানে সামনে কত রকমের খাবার দেয়া
আছে। ভদ্রতার খাতিরে খেতে পারছি না। আমি
শ্রাবন বিয়ের জন্য পাত্রি দেখতে আসছি।
মেয়েকে আগে দেখি নি। তবে নাম শুনেছিলাম
সোমা। নামটা ভালোই খারাপ না।
প্রায় কুড়ি মিনিট পর আমার সামনে একটা ঘোমটা পরা
মেয়েকে আনা হলো।
.
- তা মেয়ের ঘোমটাটা একটু সরান। (দাদা)
- জ্বি জ্বি। সোমার ঘোমটা টা সরাও। (হবু শ্বশুড়)
- কিরে পছন্দ হয়েছে? (কানে কানে দাদা বলে
বসলো)
- এতো একেবারে পরী। পছন্দ না হওয়ার মতো
কিছু নাই। (আমিও দাদার কানে কানে বললাম)
- মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়েছে।
- এতো খুব ভালো কথা।
- আপনাদের আপত্তি না থাকলে সামনের শুক্রুবারে
বিয়েটা না হয় দিলে হবে।
- হ্যাঁ হ্যাঁ চাচাজান তাই হবে।
পরে অবশ্য দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেই
এসেছিলাম। রাতে বারান্দাতে দাড়িয়ে ছিলাম।
মেয়েটা দেখতে আসলেই সুন্দর। সামনের
শুক্রুবার মানে হাতে আর বেশিদিন সময় নেই। আমি
শ্রাবন। বর্তমানে একটা জব করছি। বেতন খারাপ না
ভালোই। অনেকে আছে যারা নাকি জোরাজুরিতে
বিয়ে করে। তবে আমি কারো জোরাজুরিতে
বিয়ে করতে চাই নি। কারন, আমাকে জোর করার
মতো কেও নেই। ছোট বেলাতেই বাবা মা মারা
গেছে। তারপর থেকে দাদাই বড় করেছে। এখন
সেই সব। আমি একটু লাজুক স্বভাবের তাই সোমার
ফোন নাম্বার থেকেও ফোন দিতে লজ্জা
লাগছে।
আজ সেই দিন। আমাদের বিয়েটা হয়ে গেছে।
এখন বাসর ঘরে ঢোকার পালা। ঘরে ঢুকে দেখি
মেয়েটা খাটের মাঝে বসে আছে। আমি খাটের
পাশে যেতেই বলতে লাগলো
- দেখুন আমার পাশে আসবেন না।
- কেন? (কিছুটা অবাক হয়েছি)
- কেন মানে? আপনাকে স্বামী হিসেবে
মেনে নিতে পারবো না।
- কিছুতো করার নেই। বিয়েতো হয়ে গেছে।
- দেখুন আমার পাশে আসলে কিন্তু চিৎকার দিব।
- চিৎকার দেয়া লাগবে না। বয়ফ্রেন্ড আছে?
- মানে?
- কাওকে ভালোবাসেন?
- না না। কাওকে ভালোবাসি না।
- তাহলে?
- আসলে আমার কিছু স্বপ্ন আছে।
- যেমন।
- আমি নিজের পায়ে দাড়াতে চাই। আমি ডাক্তার হতে
চাই।
- আপনার বাড়িতে বলেন নি? বিয়ে করবেন না সেটা
বাড়িতে বললেও পারতেন?
- বাবার ভয়ে কিছু বলতে পারি নি। তাছাড়া বাবা বলেছে
বিয়ের পরেও পড়তে পারবো যদি আপনি চান।
- তাই বলে আমার সাথেই করা লাগবে এমন।
(ধীরে ধীরে বললাম)
- কিছু বললেন?
- না না। ঠিক আছে সমস্যা নেই। আপনি ডাক্তারি
পড়তে চান এটা খুব ভালো কথা।
- আর দুইটা কথা ছিল।
- জানি কি বলবেন। প্রথম কথা আমি আপনার পাশে
শুতে পারবো না। আর দ্বিতীয় কথা আপনার
পড়ালেখার খরচটা।
- আপনি কি করে বুঝলেন?
- চিন্তা করবেন না। আমি আপনার পাশে শুবো না।
আর পড়ালেখার খরচ আমিই দিব।
- ধন্যবাদ।
- রাত অনেক হয়েছে শুয়ে পড়েন।
.
আসলেই রাত অনেক হয়েছে। মেঝেতে
শুয়ে ছিলাম। মেঝে হেবি শক্ত ঘুমি আসছে না।
দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ২টা বাজে।
বারান্দাতে গেলাম। বারান্দাতে দাড়িয়ে আছি। ভাবছি
সালার কপালের কিছু বলি। জীবনেতো একটা
প্রেমো করতে পারি নি। বিয়ে করলাম সেটাও
তো আরো বড় দুঃখের। ঘরে এসে চেয়ারে
শুয়ে পড়ছি মেঝে যে শক্ত। সকালে ওঠে
দেখি সোমা বিছানাতে নেই।
ভাবছি পালিয়ে গেল
নাকি। পালিয়ে গেলে তো ইজ্জতের ফালুদা হয়ে
যাবে। কিছুক্ষন পরে বাহিরে এসে দেখি দাদার
সাথে গল্প করছে। এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন
কতই বা আমাকে স্বামী হিসেবে মানে। আমি ইশারা
করলাম ঘরে আসার জন্য।
- হুম বলেন। (সোমা)
- আমাদের মাঝে যা হয়েছে সেটা চার দেয়ালের
মাঝে রাখাই ভালো। (আমি)
- সেটা আমিও ভাবছিলাম।
- জ্বী।
কথাটা বলে রুম থেকে চলে এসতে
লেগেছিলাম। সোমা পেছন থেকে ডাকতে
লাগলো।
- কি?
- আমার পড়ালেখার যে খরচটা দিবেন সেটা আমাকে
ধার হিসেবে দিয়েন। পরে শোধ করে দিব। আর
চার মাস হলেই আমি ডিভোর্স দিয়ে দিব আপনাকে
তাহলেই হবে।
ভাবছি বলে কি এই মেয়ে। তাও বলছি।
- কি বলে ডিভোর্স দিবেন?
- বানিয়ে বলে দিব নে। আপনি আমাকে মারধর
করেন, অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে।
এইসব।
- আরে আরে আপনিতো দেখছি আমাকে
জেলে পাঠাবেন।
- গেলে যাবেন সমস্যা কি?
সোমা চলে গেল। বাপরে কি মেযেরে বাবা।
বিপদজনক পুরা।
দেখতে দেখতে তিনমাস কেটে গেল। সত্য
বলতে এই দুইমাসে সোমাকে অনেক
ভালোবেসে ফেলেছি। মাঝে মাঝে তার জন্য
গোলাপ ফুল নিয়ে যেতাম। আজকেও নিয়ে
গেছি।
- এটা আপনার জন্য।
- হুম।
- আপনার ভালো লেগেছে?
- দেখেন আপনার এইসব আদিক্ষেতা আমার ভালো
লাগে না। বিরক্ত লাগে আপনাকে আমার।
-..............
- কেন করেন এইসব? জানেন না আমি আপনাকে
ভালোবাসি না।
- ঠিক আছে।
আজকে অনেকদিন পর ...............

No comments

Powered by Blogger.